আইএনবি ডেস্ক:পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার ‘আলোয়াখোয়া ঠাকুর’ হিন্দু মন্দির এবং মন্দিরের মালিকানাধীন দেবোত্তর সম্পত্তি দখলের অভিযোগের ঘটনায় রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর করা আবেদন অবিলম্বে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল সোমবার বিচারপতি কে এম কামরুল ও বিচারপতি শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী গাজী মো. মহসিন।
তিনি বলেন, নীলফামারী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে গত ১৭ মার্চ একটি টেলিভিশন চ্যানেল ও একটি দৈনিক পত্রিকায় ‘জমি কেড়ে এমপি রানার চা বাগান’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত সংবাদে সংসদ সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেলের অবৈধ ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন মৌজার সাধারণ মানুষের জমি, হিন্দু মন্দির এবং উক্ত মন্দিরের মালিকানাধীন দেবোত্তর সম্পত্তি জোর করে দখলের মাধ্যমে অর্গানিক অরিজিন ফার্মস লি. (রানা চা বাগান) গড়ে তোলার বিষয়টি উঠে আসে।
এরপর আলোয়াখোয়া ঠাকুরের সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ কমিটির সদস্য ও পূজারী বিরেন্দ্র নাথ সিংহ মন্দিরের তালা খুলে দিয়ে পূজা অর্চনার সুযোগ দেওয়া এবং মন্দিরের সম্পত্তি উদ্ধারের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত বছরের ৫ ডিসেম্বর এবং চলতি বছরের ২১ আগস্ট পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক (ভিসি) ও পুলিশ সুপার (এসপি) বরাবর আবেদন করেন। ওই আবেদনের আলোকে পঞ্চগড়ের ডিসি ও এসপি কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় বিরেন্দ্র নাথ সিংহ হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
ওই রিটের শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করেছেন। রুলে ‘আলোয়াখোয়া ঠাকুর’ মন্দির জোরপূর্বক তালাবদ্ধ করে দেওয়া এবং মন্দিরের মালিকানাধীন দেবোত্তর সম্পত্তি দখল করাকে কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
চার সপ্তাহের মধ্যে নীলফামারী-৩ আসনের সংসদ সদস্য, স্বরাষ্ট্র সচিব, পঞ্চগড়ের ডিসি, এসপি, আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) আটজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি ডিসি-এসপি বরাবর গত ২১ আগস্ট বিরেন্দ্র নাথ সিংহের করা আবেদন অবিলম্বে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আইএনবি/বিভূঁইয়া