ভারতে পাঠানো হলো আরও ৮ টন ইলিশ

বরিশাল প্রতিনিধি: বরিশাল থেকে ভারতে আরও ৮ টন ইলিশ পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে বরিশাল নগরের পোর্ট রোডস্থ বেসরকারি মৎস অবতরণ কেন্দ্র থেকে দুটি ট্রাক এসব ইলিশ নিয়ে ভারতের উদ্দেশে যাত্রা করে।

রফতানীকারক প্রতিষ্ঠান মাহিমা এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী নিরব হোসেন টুটুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এ নিয়ে বরিশাল নগরের পোর্ট রোডস্থ মোকাম থেকে ৬০ টন ইলিশ ভারত গেছে। এর আগে তিন দফায় ৫২ টন ইলিশ ভারতে পাঠানো হয়। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতে ইলিশ পাঠানো যাবে।

তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বরিশাল থেকে ৪ ব্যবসায়ীকে ভারতে ইলিশ মাছ রফতানির অনুমতি দিয়েছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইলিশ রফতানি করতে পারবেন তারা। এই সময়ের মধ্যে আরও দুই দফা ইলিশ পাঠানোর চিন্তা করা হচ্ছে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।

এদিকে শ্রমিকরা জানান, প্রতি কার্টুনে ২০ কেজি করে ইলিশ রয়েছে।

বরিশাল জেলার মৎস্য কর্মকর্তা (হিলসা) বিমল চন্দ্র দাস বলেন, রফতানীকারী প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে ৮ থেকে ১০ টন ভারতের উদ্দেশে পাঠাবে। তবে শেষ পর্যন্ত কি পরিমাণ পাঠানো হয়েছে সেই হিসেব জানাতে কিছুটা সময় লাগবে।

ইলিশ রফতানির কারণে বাজারে তেমন প্রভাব পড়েনি বলে জানিয়েছেন পোর্ট রোড মোকামের খুচরা ইলিশ বিক্রেতা মো. গফুর। তিনি বলেন, শনিবার ও আজ রোববার এক কেজি সাইজের ইলিশ ১১ শত থেকে ১২ শত টাকায় এবং কেজির নীচে এলসি সাইজের ইলিশ ৯ শত থেকে ১ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে মৎস্য কর্মকর্তা (হিলসা) বিমল চন্দ্র দাস বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ার প্রভাব গোটা দেশে রয়েছে। তাই শুরুতে ধারণা করা হচ্ছিলো এর প্রভাব ইলিশেও পড়বে। তবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ইলিশের দাম তেমন একটা বাড়েনি। বর্তমানে এক কেজি সাইজের ইলিশ প্রতিকেজি ১৩ শত টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এর থেকে দাম কমে গেলে জেলে থেকে শুরু করে মৎস ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তবে মাছের আমদানি বাড়লে দাম কমার কথা বলছেন সামুদ্রিক ফিশিং বোটের জেলেরা।

আইএনবি/বিভূঁইয়া