বিআরটিএ’র আগ্রাসনে লাইসেন্সের জন্য গ্রাহক হয়রানির মানে কি!

আইএনবি ডেস্ক: ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের জটিলতার কারণে প্রায় ১২ লাখের বেশী আবেদনকারীর ড্রাইভিং লাইসেন্স আটকে আছে বহু বছর ধরে।

বিআরটিএর যথাযত নিয়ম মেনে, যাবতীয় ফি পরিশোধ করে, এধরনের স্লিপ দিয়ে যানবাহন চালাতে গিয়ে নানান বিরম্ভনায় পড়তে হচ্ছে লাখ লাখ পরিবহন চালককে।

এহেন বিরম্ভনা পেরিয়ে এক চিলতে সুখের খবর হলো  দীর্ঘ প্রায় ৭/৮ বছর যাবত আটকে থাকা এসব ড্রাইভিং লাইসেন্স অতিসম্প্রতি প্রিন্ট শুরু হয়েছে। হাতে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়ে আনন্দে আত্মাহারা অনেক চালক।

কিন্তু অনেকে আবার লাইসেন্স হাতে নিয়ে মাথায় বজ্রপাতের আঘাত পড়ছে। দীর্ঘ দিনের পর দিন ঘুরে, বারবার বিআরটিএ থেকে লাইসেন্স স্লিপের মেয়াদ বৃদ্ধি করিয়ে করিয়ে, নানান “ঝক্কি-ঝামেলা” সামলানোর পর যে লাইসেন্সটি হাতে পেল দেখে লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে বহু আগে। এমতাবস্থায় কেমন লাগবে, তা আর বলার অবকাশ রাখে না।

এই মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স দিয়ে সে কি করবে? বিআরটিএ নিজেও জানে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ থাকে ৫ বছর। অপেশাদার ১০ বছর। দীর্ঘ দিনের জটিলতায় গত ৬/৭ বছরের যে সব পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্ট করা হয়নি, এ লাইসেন্সগুলো মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, এগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স প্রিন্ট করার প্রয়োজন নেই। বরং এসব মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স স্লিপ নিয়ে কেহই বিআরটিএতে মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য এলে তাদের নবায়ন করে আরো ৫ বছর মেয়াদ বৃদ্ধি করে এই লাইসেন্স টি দ্রুত প্রিন্টের ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

 

আইএনবি/বিভূঁইয়া