বাহুবলে ইউএনও’র বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্চের বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়েশা হক মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ম্যাগাজিন প্রকাশের নামে ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা দাবি করেছেন ।

অভিযোগে জানা গেছে, ১৬ ডিসেম্বর তিনি বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি করেন। বাহুবল উপজেলা ব্রিকস ফিল্ড সমিতির সভাপতি হাজী মো. দুলাল মিয়ার কাছে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।

চাঁদা না পেয়ে বিভিন্নভাবে ব্যবসায়ীদের হয়রানি করেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি ব্যবসায়ীদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে রোববার তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জরিমানা করেন। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন উপজেলার বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয়রা আরো অভিযোগ করে বলেন, এই চাঁদা না দেয়ায় স্থানীয় ছোট-বড় ব্যবসায়ীদের নানা মেয়াদে জেল-জরিমানা করেন ওই কর্মকর্তা। এছাড়া, বিভিন্ন ইটভাটা, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও পরিবহন শ্রমিকদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকা নেয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. আয়েশা হক ফোনে জানান, হবিগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে একটি বিশেষ ম্যাগাজিন প্রকাশ করার জন্য আমরা বিজ্ঞাপন বাবদ টাকা চেয়েছি। কোনো ধরনের চাঁদা দাবি করা হয়নি। এছাড়া উন্মুক্ত সভার মাধ্যমে এই টাকা চাওয়া হয়েছিলো। তবে গত দু’দিন তিনি ব্যবসায়ীর কাছে একাধিক ফোন করার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, আমি বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের দাওয়াত দেয়ার জন্য ফোন করছিলাম। সব সময় টাকার জন্য ফোন করেছি সেটা নয়।

সাংবাদিকের বিভিন্ন প্রশ্নে এক পর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এ সময় চাঁদা দাবির বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমরা কোনো পরিবেশ দূষণকারীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান করবো না। জেলা প্রশাসন থেকে পরিষ্কার বিষয়টি আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন। প্রয়োজনে সরকারি কোষাগার থেকে ম্যাগাজিনের খরচ বহন করা হবে।

ব্যবসায়িদের ফোন দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুলাল মিয়া শুধু একজন ব্যবসায়ী নন। তিনি আমার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের ঠিকাদারও। কাজের জন্য আমি অনেকবার তাকে ফোন দিয়েছি। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তিনি আরো বলেন, দুলাল মিয়া বাহুবল উপজেলা ব্রিকস ফিল্ড সমিতির সভাপতি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত ইটভাটাগুলোতে অভিযান চালানোর কারণে তিনি আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কথা বলছেন।

আইএনবি/বিভূঁইয়া