ফিনিশ প্রধানমন্ত্রীর ১৯ বছরের সংসার ভাঙলো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:সান্না মারিন(৩৭) ২০১৯ সালে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন । তিনি প্রায়ই গণমাধ্যমের শিরোনামে থাকেন। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীর তকমা পেয়েছিলেন সান্না মারিন। তখন বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের শিরোনামে ছিলেন তিনি।

২০২২ সালে একটি পার্টিতে তার নাচের ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এরপর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন সান্না মারিন। পরে ডোপ টেস্টের মুখোমুখিও হতে হয় তাকে। যদিও ডোপ টেস্টে তার মাদক গ্রহণের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

এরপর আলোচনায় আসেন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর। এই যুদ্ধ শুরুর পর ফিনল্যান্ডকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ‘ন্যাটো’-তে যুক্ত করতে জোর প্রচেষ্টা চালান তিনি। তার প্রচেষ্টাতেই ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার মঞ্চ প্রস্তুত হয়। কিন্তু ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়ার আগেই ক্ষমতা হারান তিনি। নির্বাচনে হেরে প্রধামন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয় তাকে। ওই নির্বাচনে জয়লাভ করে দেশটির ডানপস্থি দল ন্যাশনাল কোয়ালিশন পার্টি। যদিও এখনও সান্না মারিন দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পরবর্তী জোট সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করবেন।

এবার ভাঙলো তার সংসার। দীর্ঘ ১৯ বছর এক সঙ্গে থাকার পর মার্কাস রাইকোনেনের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন সান্না মারিন।

বুধবার মারিন তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে জানান, আমরা দু’জনেই বিচ্ছেদের আবেদন করেছি। ১৯ বছর একসঙ্গে থাকা ও আমাদের প্রিয় কন্যার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।

তিনি বলেন, আমরা এখনও ভালো বন্ধু এবং একে অপরের ওপর শ্রদ্ধাশীল। ভবিষতে পরিবার হিসেবে আমরা একসঙ্গে সময় কাটাব।

মারিনের স্বামী মার্কাস রাইকোনেন একজন ব্যবসায়ী ও সাবেক পেশাদার ফুটবলার। দীর্ঘ সম্পর্কে থাকার পর ২০২০ সালে তাদের বিয়ে হয়।
সূত্র: ডেইলি মেইল, সিএনএন, দ্য গার্ডিয়ান, রয়টার্স

 

আইএনবি/বিভূঁইয়া