প্রেমিকের জিহ্বা কেটে নিলেন প্রেমিকা

ধামরাই প্রতিনিধি: ঢাকার ধামরাইয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ে না করায় শনিবার রাতে উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের ফড়িঙ্গা গ্রামে প্রেমিক সাইফুল ইসলামের জিহ্বা ব্লেড দিয়ে কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রেমিকা শারমিন আক্তারসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আহত প্রেমিক সাইফুল ইসলাম স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সাইফুল ইসলামের বাড়ি একই গ্রামে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- প্রেমিকা শারমিন আক্তার, তার বাবা শফিকুল ইসলাম, মা পানকা বেগম ও ভাই ফারুক হোসেন।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ফড়িঙ্গা গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে শারমিন আক্তারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সাইফুল ইসলামের। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন সাইফুল। কিন্তু বিয়ে না করে সময়ক্ষেপণ করতে থাকায় শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শারমিন আক্তার প্রেমিক সাইফুল ইসলামকে তার বাড়িতে ডেকে নেন। পরে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী অন্তরঙ্গ মুহূর্তে কৌশলে শারমিন আক্তার ব্লেড দিয়ে প্রেমিক সাইফুল ইসলামের জিহ্বা কেটে ফেলেন।

ধামরাই থানার এসআই নির্মল কুমার দাশ  বলেন, ‘খবর পেয়ে শারমিন আক্তারের বাড়ি থেকে খণ্ডিত জিহ্বা উদ্ধার করা হয়েছে। পরে রাতে ফড়িঙ্গা গ্রামের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রেমিকা ও তার পরিবারের তিন সদস্যকে আটক করা হয়েছ। এ ঘটনায় রাতেই একটি মামলা হয়েছে।’

ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক আতিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

আইএনবি/বিভূঁইয়া