‘প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে ডাক বিভাগকে সেবামুখী হতে হবে’

আইএনবি ডেস্ক: ‘এখন বেশির ভাগ অনলাইন ব্যবসা চলছে ও ক্রয়-বিক্রয় চলছে। সে ক্ষেত্রে ডাক বিভাগকে পিছিয়ে থাকলে চলবে না বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে ডাক বিভাগকে আরো বেশি সেবামুখী হতে হবে। খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে ফলমূল যেন ডাকের মাধ্যমে পাঠানো যায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। ডাকের সেবাটাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে।’

গণভবন থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ডাক অধিদপ্তরের নবনির্মিত সদর দপ্তর ‘ডাক ভবন’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এই পরামর্শ দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা কুলিং সিস্টেম রাখতে হবে। গাড়ির সঙ্গে সঙ্গে ডাকঘরগুলোতে চেম্বারও করতে হবে, যাতে পণ্য ভালো রাখা যায়। রান্না করা খাবারও যেন এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পাঠানো যায়। এ জন্য কুলিং ও ফ্রিজিং সিস্টেম করে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনলাইনে বাজার করাসহ যাবতীয় সেবা পাওয়া যায়। ডাক বিভাগ থেকেও যেন এসব আধুনিক সেবা দেওয়া যায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে ফলমূল, সবজি ও খাবার ওই গাড়িতে ভালো থাকে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন তো ছোট ছোট পোর্টেবল বক্স পাওয়া যায়। যেহেতেু অনলাইন ক্রয়-বিক্রয় জনপ্রিয় হয়েছে, এতে ডাক বিভাগ পিছিয়ে থাকলে হবে না, ডাক বিভাগের এ ব্যাপারে আরো দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ব্যবসা করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘লেটারবক্স অনেকে ভুলে গেছে। এখন সবাই এসএমএস ও মেইল দেয়। কিন্তু দৃষ্টিনন্দন এই লেটারবক্সসদৃশ ভবন দেখলে চিঠি পাঠানোর কথা মনে পড়বে। ভবনে চিঠিপত্র ঝুলছে, চিঠি যাচ্ছে আসছে, এমন কিছু চিত্র যোগ করারও পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগে ডিজিটাল সেন্টার থেকে যেসব সুবিধা পেত, ডাকঘরগুলোতেও একই সেবা পাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ডাকঘর সেবার মানুষের দোরগোড়ায় আরো পৌঁছে দিতে ১১৮টি মেইলগাড়ি সংযুক্ত করেছি। গাড়ি চালানোর জন্য নারীদেরও তৈরি করছি।

আইএনবি/বিভূঁইয়া