প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারত গেলেন আতা উল্লাহ খান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর সঙ্গী হিসেবে ভারত গেলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, রাজনীতিবিদ, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের অন্যতম নেতা মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল (র:) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর সঙ্গী হিসেবে দিল্লি গেছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে কেন্দ্রীয় ১৪ দল হতে ৪ জনকে মনোনিত করা হয়। এরা হলেন- বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগের এর মহাসচিব মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান, জাতীয় পার্টি জেপির প্রেসিডিয়াম সদস্য এজাজ আহমদ মুক্তা, সাম্যবাদী দলের পলিট বুরো সদস্য লুৎফর রহমান, ন্যাপ (মোজাফফর) কেন্দ্রীয় নেতা অনিল চক্রবর্তী। এরা প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদীসহ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান দীর্ঘ ২০ বছর ধরে জাতীয় রাজনীতিতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে আসছেন। দীর্ঘ সময় ধরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ১৯৯৭ সালে আন্তর্জাতিক লিবারেল মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে উদার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে বাংলাদেশ লিবারেল পার্টিতে যোগদান করেন এবং চট্টগ্রাম মহানগরের আহবায়ক নিযুক্ত হন ১৯৯৮ সালে চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০০১ সালে ৮ ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম ৯ আসন হতে লিবারেল পার্টির দলীয় প্রতীক বৈঠা নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। ২০০৬ সালে লিবারেল পার্টির যুগ্মমহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন। ৯ ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা- ১০ আসন হতে বৈঠা প্রতিকে অংশগ্রহণ করেন। ২০১২ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বধীন ১৪ দলীয় জোটের শরীক জাতীয় নেতা মাওলানা আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশ প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগের যুগ্ম মহাসচিব এর দায়িত্ব পান।

এরপর ২০১৪ সালে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও ২০১৬ সাল হতে মহাসচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়া তিনি আইপিটিভি ওনার্স এসোসিয়েশন এর সভাপতি, বাংলাদেশ সামাজিক সাংস্কৃতিক ঐক্য জোট এর চেয়ারম্যান, ভেজাল, মাদক ও দূর্নীতি বিরোধী আন্দোলন এর সভাপতি, মুক্তি যুদ্ধের জাতীয় বিজয় মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও সদস্য সচিব, কোস্টাল জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ এর সভাপতি, মার্চ মিডিয়া লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ অনেক গুলো সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এর সাথে জড়িত আছেন।

তিনি কক্সবাজার জেলার মহেশ খালী দ্বীপের ঠাকুর তলা গ্রামের বরেণ্য শিক্ষাবিদ মরহুম আলহাজ্ব মাওলানা মকবুল আহমদ এর সুযোগ পুত্র।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দুই দেশের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও তিস্তার পানিবণ্টন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। পাশাপাশি আটটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

৪ দিনের সফর শেষে আগামী ৬ অক্টোবর রোববার সফরসঙ্গীসহ প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।