প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা, ১৩ বছরের কারাদণ্ড

আইএনবি ডেস্ক: ভোলার আশরাফুল ইসলাম দিপু নামে এক ব্যক্তি নিজেকে কখনো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা, কখনো এনএসআইয়ের মহাপরিচালক এমন ভুয়া পরিচয় দিয়ে প্রতারণা চালিয়ে আসছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার প্রতারণার ফাঁদ ছিলো বিস্তৃত। স্বাক্ষর জালিয়াতি, সরকারি প্রজ্ঞাপন জালিয়াতিতে তার দক্ষতা ছিলো অবিশ্বাস্য।

বুধবার (১১ অক্টোবর) অর্থ আত্মসাত ও ডিজিটাল প্রতারণার মামলায় বহুল আলোচিত এই আসামিকে ১৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন রংপুর সাইবার ট্রাইবুনাল আদালত। মামলা পরিচালনা করেন জজ আদালতের পিপি আব্দুল মালেক ও সাইবার ট্রাইবুনালের পিপি সহযোগি এডভোকোট শাম্মী আক্তার।

জানা গেছে, ভোলার আইচা উপজেলার উত্তরকলমি এলাকার আব্দুল জলিল ওরফে মতি ফকিরের পুত্র আশরাফুল ইসলাম দিপু ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে সরকারের উচ্চ দপ্তরের প্রধানের পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেছে। এ ধরণের ঘটনায় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের কিসামত বীরচরণ এলাকার জহির উদ্দিনের পুত্র সানাতুল্লাহ সানু ২০২১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি কিশোরগঞ্জ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। পরে মামলাটি রংপুরের সাইবার ট্রাইবুনালে আসে। সাক্ষীদের জবানবন্দি এবং ডিজিটাল তথ্য নিশ্চিত হওয়ায় পৃথক তিনটি ধারায় তাকে ১৩ বছরের কারাদন্ডাদেশ দেন আদালত।

পিপি মালেক বলেন, দিপু একজন দুর্দান্ত ইনোভেটিভ প্রতারক। সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোকের সাক্ষর জাল করে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সচিবালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে এমন কোনো মন্ত্রণালয় নেই যার ঊর্ধ্বতন র্কমকর্তার পরিচয় দেয়নি এই আসামি।

এদিকে আসামি দিপুর সম্পত্তি বিক্রি করে সানুর কাছ থেকে হাতিয় নেয়া ১০ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ফেরত দিতে ভোলার ডিসিকে ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দিপুর পক্ষের আইনজীবী আহসান হাবীব বলেছেন, এই রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।

 

আইএনবি/বিভূঁইয়া