পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত বেশি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করলো সদর দপ্তর

আইএনবি নিউজ: পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার এ আই জি সোহেল রানা মঙ্গলবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় এর ব্যাখ্যা তুলে ধরেন।

সোহেল রানা বলেন, পুলিশিং একটি ইউনিক প্রফেশন। এই প্রফেশনে থেকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেশার যে সুযোগ, তা অন্য কোনও প্রফেশনে নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই দিকটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কোয়ারেন্টাইন এবং আইসোলেশন নিশ্চিত করতে পুলিশকে মানুষের খুব কাছে যেতে হয়।

তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে যানবাহনের একটু সংকট রয়েছে, তাই পুলিশের গাড়িতে করে রোগীদের পৌঁছে দিতে হচ্ছে। এমনকি তাদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতেও পুলিশ কাজ করছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, দ্রব্যমূল্য, কালোবাজারি নিয়ন্ত্রণেও মানুষের খুব কাছে থেকে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। ধর্মীয় কোনও অনুষ্ঠানে ব্যাপক মানুষের সমাগম, গার্মেন্টস কিংবা অন্য পেশার মানুষ যখন সমবেত হচ্ছেন, বিক্ষোভ করছেন,সেই পাবলিক অর্ডার ম্যানেজ করতে মানুষের মাঝে যেতে হচ্ছে পুলিশকে।

আসামিকে গ্রেপ্তার করতে খুব কাছ থেকে তাকে স্পর্শ করতে হয়। তা ছাড়া ধরা সম্ভব নয়। করোনায় কেউ মারা গেলে তার সৎকার, জানাজা, দাফনে পুলিশকে যেতে হচ্ছে। কিন্তু তাৎক্ষণিক নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না।

সোহেল রানা ভিডিও বার্তায় আরও বলেন, কোনও সদস্য যখন আক্রান্ত হচ্ছেন, তখন অন্য সদস্যের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। যারা ব্যারাকে থাকেন, সেখানে স্বল্প স্পেসে থাকতে হচ্ছে। একসঙ্গে থাকা তাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চেষ্টা করা হচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের নিরাপদ দূরুত্বে বিছানাসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু দেয়ার। তারপরও পেশাগত বৈচিত্রের কারণে বাড়তি কিছু ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। এসব কারণে পুলিশের করোনা সংক্রমণের হার বেশি। পুলিশ সদস্যরা দেশ ও মানুষকে ভালোবেসে ঝুঁকি নিচ্ছেন। সুরক্ষাসামগ্রী পেতে বিলম্ব হলেও তারা ঘরে বসে থাকছেন না।
বাংলা ট্রিবিউন

আইএনবি/বিভূঁইয়া