পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগে থানায় ভাঙচুর

রংপুর  প্রতিনিধি: রংপুর নগরীতে হারাগাছ থানায় আটক ব্যক্তির মৃত্যুতে পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকাবাসী হারাগাছ থানা ঘেরাও করে। তারা পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত তাজুল ইসলাম (৫০) কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছের দালালহাট নয়াটারীর মৃত শওকত আলীর ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যায় হারাগাছ থানার পুলিশ নতুন বাজার বছির বানিয়ার তেপতি নামক স্থানে অভিযান চালায়। এ সময় মাদকসেবী সন্দেহে তাজুলকে আটক করে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়।

আবুল হোসেন নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তাজুলকে মিথ্যা মাদক সেবনের অভিযোগে আটক করে হাতকড়া পরানো হয়। এ সময় তাঁর মাথার পেছনে জোরে আঘাতসহ শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তাজুলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে হারাগাছ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। এক পর্যায়ে ‘হত্যার বিচার দাবি’ করে ইটপাটকেল ছোড়ে। থানা ভবনে ভাঙচুর চালানো হয়। ভবনের সামনে রাখা একটি পুলিশ ভ্যান ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ লোকজন। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে থানা ভবনের ভেতরে অবস্থান নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গতকাল রাত ১১টায় ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো পক্ষ মামলা করেনি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তাজুলের ভাই মনসুর রহমান আবু বলেন, পুলিশ সদস্য রাজু তাঁর ভাইকে ধরে হাতকড়া পরিয়ে গাড়িতে উঠান। মারধর করে জানতে চান ‘আর কে আছে’। অসুস্থ হলে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন।

এ বিষয়ে জানতে হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শওকত আলীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ধরেননি। রংপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (অপরাধ) উজ্জ্বল কুমার রায় বলেন, ‘আটক ব্যক্তিকে মারধর করা হয়নি। তাঁর বয়স বেশি ছিল। হাতকড়া পায়ে চাপ দিয়ে ভাঙার চেষ্টা করায় হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে মারা গেছে।’

আইএনবি/বিভূঁইয়া