নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ মন্দিরে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১৩

নোয়াখালি প্রতিনিধি: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে গত ১৫ অক্টোবর শুক্রবার দুপুরে মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার সময় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ দেখে আরো ৮ জন ও  তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরো ৫ জনসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, সুবর্ণচর উপজেলার চরবহুলা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে মো. ফরহাদ (২৬), চৌমুহনী পৌরসভার সাহাব উদ্দিনের ছেলে শামীম (২৭), জয়নাল আবেদিনের ছেলে রিপন (১৮), বাবুলের ছেলে দুলাল (৪০), ছয়ানীড় ইউনিয়নের দেলোয়ারের ছেলে জুয়েল (১৯), কামরুল হাসানের ছেলে আরাফাত হোসেন আবীর (১৮), হাজীপুরের নুরুল হক ভূঁইয়ার ছেলে রাজীব (২৪) ও তাজুল ইসলামের ছেলে কামাল (৪৫)। এদের সবাইকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অপর গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, বেগমগঞ্জের নরোত্তমপুরের আবদুস সাত্তারের ছেলে শহীদ (৪৫), গণিপুরের এতিম আলীর ছেলে হুমায়ন (৬৩), আবুল কাশেমের ছেলে কাশেম বিন আবু জুবায়ের অরিন (২৫), মোস্তফার ছেলে ইমাম হোসেন রাজু (২৮) ও বাবুল মিয়ার ছেলে আলা উদ্দিন (৩৫)।

 

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, ওই দিনের হামলাটি পূর্বপরিকল্পিত। হামলাকারীদের এক পক্ষ বাজারের প্রধান সড়কে থাকা পুলিশকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে, আর ৭টি গ্রুপ একযোগে ৭টি মন্দিরে হামলা চালিয়েছে বলে আমরা বিভিন্ন সূত্রে নিশ্চিত হয়েছি। ভিডিও ফুটেজ দেখে সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

বেগমগঞ্জে হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০টি মামলায় ১২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০টি মামলায় ১২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

আইএনবি/বিভূঁইয়া