নদী ভাঙনে মাথা গোজার ঠাঁই হারাল এক হাজার পরিবার

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: তিস্তা নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় ৩০টি পয়েন্টে নদী ভাঙন তীব্ররূপ নিয়েছে। বন্যা ও ভাঙনের আতঙ্কে নদী পারের মানুষ। কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট, চিলমারী, রৌমারী ও নাগেশ্বরী উপজেলাসহ ৯টি উপজেলায় এরই মধ্যে গৃহহীন হয়েছে প্রায় এক হাজার পরিবার।

ভাঙনের শিকার অসহায় পরিবারগুলোর অনেকেই সড়ক, বাঁধ ও খোলা জায়গায় আশ্রয় নিয়ে কাটাচ্ছে দুর্বিসহ জীবন।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার চর বড়াইবাড়ি, নানকার গ্রাম ও সারডোবে ৬০টি পরিবার ভাঙনের শিকার হয়ে বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। নাগেশ্বরী উপজেলার নায়ায়ণপুরে আকবর হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। কন্যামতি বাজারটি বিলীনের পথে। এখানে ভাঙনের শিকার হয়েছে পাঁচটি গ্রামের ৩০০ পরিবার।

ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে চিলমারীর ১১টি চরের ২৫০টি পরিনার ভাঙনের শিকার হয়েছে। তিস্তার ১৮টি পয়েন্টে ইতোমধ্যে ভাঙনের শিকার হয়ে চার শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়েছে।

পানি উন্নয়নের বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভাঙন প্রতিরোধে ২০টি স্পটে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।

আইএনবি/বিভূঁইয়া