দেশবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার “কে ফোর্স”

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই দেশের স্বার্থে অপপ্রচার ও গুজব প্রতিরোধে নিঃস্বার্থভাবে অনলাইনে প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তোলে কাজ করে যাচ্ছে কে ফোর্স।

গ্রুপের নাম k-force কে ফোর্স কিঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ও সাফল্যের প্রচার এবং আওয়ামী বিরোধীদের অনলাইন অপপ্রচার রুখতে আওয়ামী সমর্থকদের নিয়ে তৈরি একটি অনলাইন গ্রুপ। ২০১২ সালে যখন বাংলাদেশ সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করলো তখন বিএনপি – জামাত এর অপপ্রচার এর জবাব দিতে অনলাইনে সক্রিয় থাকা কট্টরপন্থী আওয়ামী সমর্থকদের সাথে যোগাযোগ করা হয় এবং সকলে সম্মিলিত ভাবে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে , সমগ্র বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যে পরিমাণে ভুঁইফোড় সংগঠন এর জন্ম হয়েছে আর তাদের যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তা আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে অবস্থান করে আর তাই আমরা বঙ্গবন্ধু বা তার পরিবারের কোন সদস্যের নাম নিয়ে কোন সংগঠন করবো না। তাহলে গ্রুপের নাম কি দেয়া যায়? অনেক বিচার-বিশ্লেষণ করে ও তথ্য উপাত্ত ঘেঁটে দেখা গেল আমাদের যে চিন্তা ধারা এবং লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফ এর সমস্ত জীবনের কার্যক্রম তার সাথে হুবহু মিলে যায় আর এই কারনেই আমরা সিদ্ধান্ত নেই এই মহাবীর, দেশপ্রেমী, নীতিবান লোকের নিজ হাতে তৈরি করা মুক্তিযুদ্ধকালীন একটি গ্রুপের নামেই আমাদের গ্রুপের নামকরণ ও যাত্রা শুরু করব এবং সকল অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো । এভাবেই শুরু হল আমাদের K-Force. এর পথচলা ।

সেক্টর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেদ মোশাররফ এর সংক্ষিপ্ত জীবনীঃ খালেদ মোশাররফ (১৯৩৭- ১৯৭৫) একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে খালেদ মোশাররফ মুক্তিবাহিনীর ২নং সেক্টরের সেক্টরকমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং K-Force.., Y – প্লাটুন , ক্র্যাক প্লাটুন’ ও সুইমিং প্লাটুন নামের দুর্ধর্ষ চারটি প্লাটুনের সর্বাধিনায়ক ছিলেন। বীরত্বের সম্মাননা ও স্বীকৃতি স্বরূপ মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তীতে তাকে বীর উত্তম পদবীতে ভূষিত করা হয়। ১৯৭৫ এর ৩রা নভেম্বর জেল হত্যার মতো একটি ঘৃণ্য কলঙ্কিত অধ্যায় রচিত হবার পর ওই ঘৃণ্য ঘটনা সংগঠনের মূল নায়ক দের বিরুদ্ধে তিনি ফুঁসে ওঠেন এবং তাদেরকে ক্ষমতাচ্যুত করেন । এর মাত্র চার দিনের মাথায় একটি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাকে হত্যা করা হয়। আজ খালেদ মোশাররফ (বীরোত্তম) বেঁচে নেই । বাঙালি জাতি কোনো দিন তার কর্মের ঋণ শোধ করতে পারবে কিনা তাও জানা নেই । যখন ইতিহাস থেকে এই মহাবীর এর নাম বিলীন হওয়ার উপক্রম তখন তার নিজের হাতে তৈরি করা সংগঠনের নামে নামকরণ করে তার প্রেরণা কে কাজে লাগিয়ে জাতির জনকের আদর্শকে বুকে ধারণ করে কে-ফোর্স কন্যা মাহজাবীন খালেদ আপার দিকনির্দেশনায় Sakib Nazmus এর নেতৃত্বে আমরা অনলাইনে এসেছি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সকল সাফল্যকে জনসাধারণের মাঝে তুলে ধরতে এবং চারদলীয় জোট ও জামাত-শিবিরের সকল প্রকার অপপ্রচারের জবাব দিতে । যেখানেই অপপ্রচার সেখানেই প্রতিরোধ করতে আমরা সর্বদা প্রস্তুত।

অপপ্রচার মুক্ত অনলাইন গড়ার লক্ষ্যে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ । আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণের নিমিত্তে প্রাত্যহিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আমরা দীর্ঘ ছয়টি বছর পার করে সপ্তম বছরে পদার্পন করলাম । K-force আদর্শে, সংগ্রামে, অনলাইনে দুর্বার। “আদর্শ” কিসের ? ‘ জাতীয়তাবাদ , সমাজতন্ত্র , গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা ‘ মহান মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তি এই চার মূলনীতিতে বিশ্বাসী বাংলা ও বাঙালির জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ একটি বৈষম্য মুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য । “সংগ্রাম” কেমন ? স্যোসাল মিডিয়ায় সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়ানো স্বাধীনতাবিরোধী একাত্তরের কুখ্যাত রাজাকার জামাত – শিবির ও তাদের দোসর বিএনপির ক্যাডারদের উষ্কানীমূলক সকল ধরণের গুজব, মিথ্যাচার আর প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে সঠিক তথ্যনির্ভর উপযুক্ত জবাবের মাধ্যমে প্রতিহত করাই আমাদের সংগ্রাম । “অনলাইনে দুর্বার” কিভাবে ? ছাগু (বিএনপি-জামাত জঙ্গী গোষ্ঠী) দের কাছে K-force একটি মূর্তিমান আতংকের নাম। কারণ তাদের গুজব, মিথ্যাচার আর প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে এত লম্বা সময় ধরে এতো এফেক্টিভলি আর কোনও অনলাইন সংগঠন টিকে থাকতে পারেনি। তাই আমাদের সংগঠনের কাছে তারা নতিস্বীকার করে আমাদের থেকে দূরে থাকে। এমনকি তারা আমাদের বেশিরভাগ সদস্যদেরও ভয়ে ব্লক করে রাখে। আজকে অনলাইনে যত ছাগু আইডি দেখবেন তার বেশিরভাগই প্রোফাইল লক করে চালায় আমাদের যুক্তিতর্কে হারার ভয়ে। এটাকে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজে লাগিয়ে আমরা এখনও কাজ করছি দুর্বার গতিতে। কেউ স্বীকার করেন বা নাই করেন, K-force এমন একটা ছাঁকনি যেখানে যেকোনও ধরনের ছুপাছাগু ধরা পড়তে বাধ্য আর এভাবেই ভালো ভালো কথা বলে আমাদের সদস্য হবার পরে ২/৪/৬ মাস পরে অনেকেই বিতাড়িত হয়েছে। বিতাড়িত হবার পরে তারা বিভিন্ন সময়ে আমাদের গ্রুপ নিয়ে অনেক প্রকার বাজে মন্তব্য ও করেছে। কিন্তু আমরা কখনোই তাদের নিয়ে মাথা ঘামাইনি, সময়ের পরিক্রমায় দুইদিন আগে বা পরে সবার সামনে উন্মুক্ত হয়েছে ছাগুদের আসল রূপ। সীমাহীন চড়াই উতরাইয়ের পরও আমাদের অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষীই আমাদের প্রেরণার মূল উৎস । বঙ্গবন্ধু , বাংলাদেশ ও স্বাধীনতার প্রশ্নে আমরা আপোষহীন। সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে বাংলার মাটি থেকে চিরতরে রুখে দিতেই আমরা বদ্ধপরিকর । মুজিব আমাদের চেতনা , একাত্তর আমাদের অনুপ্রেরণা ।