দৃশ্যমান হচ্ছে বঙ্গবন্ধু টানেল

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: বঙ্গবন্ধু টানেল কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে  নির্মাণ প্রকল্পের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম) দিয়ে সুড়ঙ্গ (টিউব) তৈরির কাজ।

নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয়েছে টানেলের দ্বিতীয় সুড়ঙ্গের খননকাজও। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের আনোয়ারা প্রান্ত থেকে পতেঙ্গা প্রান্তের ৩৫ ফুট প্রশস্ত ও ১৬ ফুট উচ্চতার দ্বিতীয় সুড়ঙ্গের এ কাজ সম্পন্ন হয়। বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রায় ৭৩ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

বাকি শুধু দুই সুড়ঙ্গের বাইরে দুই প্রান্তের অ্যাপ্রোচ রোড তৈরি, সেই কাজও চলছে দিন রাত। সেই সঙ্গে সমানতালে চলছে প্রথম সুড়ঙ্গের স্লাব ঢালাই ও বৈদ্যুতিক সংযোগের কাজ। জানুয়ারিতে শুরু হবে দুই সুড়ঙ্গের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের কাজ।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এরই মধ্যে কাজের গতি বাড়ানোর জন্য বাড়তি জনবল নিয়োগ করা হয়েছে। একই সঙ্গে কাজ এগিয়ে নিতে অত্যাধুনিক নানা যন্ত্রপাতি, মেশিনারিজ সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে কাজের গতি অনেকটাই বেড়েছে।

প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. হারুনুর রশিদ চৌধুরী  বলেন, আপনারা জানেন, যেকোন কাজের প্রথমদিকে বেশি বেগ পেতে হয়। আর টানেল নির্মাণের আমরা একবারে নতুন এজন্য প্রথম সুড়ঙ্গে ১৭ মাস সময় লেগেছিল। এবার ১০ মাসে দ্বিতীয় সুড়ঙ্গ হয়ে গেলো। করোনাভাইরাস না হলে আরো দুই মাস হয়ত কম লাগত।

কর্ণফুলি টানেল নির্মাণ প্রকল্পটির উদ্দেশ্য ছিল চীনের সাংহাইয়ের ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ প্রকল্পের আদলে কর্ণফুলি নদীর দুপাশে বাণিজ্যিক হাব তৈরি করার। টানেল দিয়ে যান চলাচল শুরু হলে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা কক্সবাজার ও দক্ষিণ চট্টগ্রামগামী যানবাহনকে আর চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশ করতে হবে না। সিটি আউটার রিং রোড হয়ে টানেলের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। এতে চট্টগ্রাম শহরে যানবাহনের চাপ কমে যাবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের নির্বাচনে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর চুক্তি সই হয় ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর। এর আগে ২০১৪ সালে প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ও চীনের সরকারি পর্যায়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়।

টানেল নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে চীন দিচ্ছে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা।

 

আইএনবি/বিভূঁইয়া