দুর্যোগ-দুর্বিপাক আওয়ামী লীগই মানুষের পাশে থাকে : উপমন্ত্রী শামীম

আইএনবি প্রতিবেদক

পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের উপ মন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন-দুর্যোগ-দুর্বিপাক আওয়ামী লীগই মানুষের পাশে থাকে। করোনা সংকটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিজিপি, সেনাবাহিনী, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় আমি শুধু আমার নির্বাচনী এলাকায় নয়, যেহেতু এখন বর্ষাকাল, আম্পান হয়েছে করানোর মধ্যেও সাতক্ষীরা, খুলনা বাগেরহাট উপকূলীয় অঞ্চল সফল করেছি; কোথাও বিএনপির কোন নেতাকে ত্রান কাজে অংশ নেয়নি। দুর্গতদের পাশে দাঁড়ায়নি। তিনি বলেন, অথচ এতিমের টাকা মেরে খাওয়ার অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত আসামি খালেদা জিয়াকে যখন কোর্ট জামিন দিচ্ছিল না, তখন মানবতার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে প্রশাসনিক আদেশে মুক্তি দিয়েছেন। আমরা ভেবেছিলাম তারা মানবতার পাশে থাকবে, কিন্তু তাদেরকে শুধু টেলিভিশনেই দেখা যায়, কোথাও সংকটের একজনের পাশেও থাকতে দেখা যায়নি। মঙ্গলবার রাতে করোনাকালীন সংকট নিয়ে অনলাইনে বিশেষ ওয়েবিনার ‘বিয়ন্ড দ্যা প্যানডেমিক’ এর দশম পর্ব আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক এ সাংগঠনিক সম্পাদক। এবারের পর্বের আলোচনার বিষয় ছিলো ‘করোনা সংকট তারুণ্যে ভূমিকা। করোনা সংকটে প্রধানমন্ত্রীর অদম্য সাহসি ভূমিকা তুলে ধরে এনামুল হক শামীম বলেন, আমাদের দেশে সর্বপ্রথম মার্চ মাসের ৮ তারিখে করোনা সনাক্ত হয়। ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালনের উৎসব শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বে বাঙালিরা পালনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে সে আয়োজন প্রধানমন্ত্রী বাতিল করেন। সংকট মোকাবেলায় প্রথম থেকেই ৩১ দফা নিদেশনা দেন এবং ২ হাজার ডাক্তার ৬ হাজার নার্স নিয়োগ করেন। বাংলাদেশের সকল হাসপাতালে মাস্ক, পিপিই সরবরাহ করেন। সব হাসপাতালগুলোকে আগাম প্রস্তুত করেন। দফায় দফায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেছেন। ১ লাখ ২ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকার প্রনোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। যা জিডিপি ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। সেবা, কৃষি, সামাজিক সুরক্ষা, কৃষক শ্রমিক ছাত্র শিক্ষক, ইমাম, মুয়াজ্জিন, জেলে, বেদে স্বাস্থ্যকমী, গামেন্টস কমী সকল মানুষকেই প্রণোদনা প্যাকেজের মধ্যে এনেছেন। আওয়ামী লীগের পক্ষে হতে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৭ হাজার পরিবারকে প্রায় ৬ কোটি ৬৪ লাখ মানুষকে সহায়তা করা হয়েছে। যা মোট জনসংখ্যার তিনভাগের একভাগ। নগদ প্রায় ১১৬ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। গত চার-পাঁচ মাসের বাংলাদেশের কোথাও একজন মানুষ অভুক্ত থাকার খবর পাওয়া যায়নি। একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় শরীয়তপুর ২, সেখানে ২৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৫টি ইউনিয়নের চরম দূগম এলাকা। সেখানেও আওয়ামীলীগের কমীরা, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা বাড়ি বাড়ি যেয়ে সহায়তা সামগ্রি পৌঁছে দিয়েছে। ডাক্তারের কাছে রোগী নয়; রোগীর কাছে ডাক্তার এই শ্লোগানে সমগ্র শরীয়তপুরে অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়ি বাড়ি চিকিৎসা সেবা পৌছে দিয়েছে। ৯৮ সালের বন্যার কথা তুলে ধরে ছাত্রলীগের সাবেক এ সভাপতি বলেন, ৯৮ সালের বন্যায় বিবিসি ভবিষ্যৎবাণী করেছিল এক কোটি মানুষ না খেয়ে মারা যাবে । আমি তখন ছাত্রলীগের সভাপতি। নেত্রী বলেছিলেন আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা আমি বেঁচে থাকতে একজন মানুষ না খেয়ে মারা যেতে দেবো না। সেই বন্যায় আমরা ছাত্রলীগ ডাকসু, মধুর ক্যান্টিন, বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে রুটি আর স্যালাইন তৈরির কারখানা গড়ে তুলে দিয়েছিলাম। সারা বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চল প্রত্যন্ত অঞ্চল সেই এখনকার মতো এতো যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত ছিল না । মোবাইলে নেটওয়ার্ক ছিল না। একজন মানুষ না খেয়ে মারা যায়নি। তারুন্যের ভূমিকা তুলে ধরে পানি সম্পদ উপ মন্ত্রী বলেন, তরুনরা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বঙ্গবন্ধু তরুণদের কাজে লাগিয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিচ্ছেন এবং আগামী দিনের ভবিষ্যৎ তরুন নেতৃত্বে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে ।