ভোলা প্রতিনিধি: ভোলা সদর উপজেলায় বুধবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে ইলিশা ইউনিয়নের জংশন বাজার এলাকায় বিনা অপরাধে মো. লিটন ও বজলু নামের দুই ট্রাকচালককে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মো. সালাউদ্দিন নামে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।
বুধবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মারধরের একটি ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে পড়ে।
মুহূর্তের মধ্যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়। ভিডিওকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
ভিডিওটিতে দেখা গেছে, ইউপি সদস্য সালাউদ্দিন একটি কাঠ নিয়ে একজন ট্রাকচালককে বেধম মারধর করে। এক পর্যায়ে তাকে বাঁচাতে অন্য একজন চালক এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করে। পরে স্থানীয়রা দুই চালককে ইউপি সদস্যের হাত থেকে রক্ষা করে। এসময় ওই দুই চালক গুরুতর আহত হয়।
ট্রাকচালক মো. লিটনের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতুবা ইউনিয়নের ছোট মানিকা গ্রামে। অন্যজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ট্রাকচালক মো. লিটন মুঠোফোনে জানান, তিনি ভোলা শহরের একটি বাসায় টাইলস নামিয়ে দিয়ে ইলিশা ফেরিঘাটের দিকে রওয়ানা করেন। ওই সড়কে জ্যাম থাকায় মাহাজনের পোল নামক এলাকায় গাড়ি নিয়ে দাঁড়ায়। এসময় গাড়ির পেছন দিক থেকে একটি মোটরসাইকেল ব্রেক করে দাঁড়াতে গিয়ে পড়ে যায়। মোটরসাইকেল চালক তাকে রাস্তার মধ্যে দাঁড়ানোর কথা জিজ্ঞাসা করলে লিটন বলেন, ‘আপনি তো আমার গাড়ির সঙ্গে এক্সিডেন্ট হন নাই’। পরে মোটরসাইকেল চালক সেখান থেকে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পর ট্রাক চালক লিটন ইলিশা ঘাটের দিকে গেলে মোটরাসাইকেল চালক ঘাটে গিয়ে তাকে একটি কাঠের টুকরো দিয়ে বেদম মারধর করেন। তাকে বাঁচাতে অন্য একজন চালক এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করে। এতে তাদের দুজনের হাত ভেঙে গেছে। তারা দুজন গুরুতর আহত হয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমি ভোলা শহর থেকে ইলিশার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে মাহাজনের পোলের কাছে ট্রাকচালক আমাকে চাপা দিয়ে ফেলে দিয়ে যায়। পরে আমি তাকে ইলিশা ঘাটে গিয়ে পাই এবং তাকে মারধরও করি। ট্রাকচালককে মারধর করা আমার ঠিক হয়নি। আমি এই বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করছি’।
ভোলার ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. ফরিদ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। এবং তাদের উভয়কে তদন্ত কেন্দ্রে আসতে বলি। কিন্তু তারা কেউ আসেনি।
আইএনবি/বিভূঁইয়া