খুলনা প্রতিনিধি: খুলনায় চাঞ্চল্যকর মশিয়ালীর তিন খুনের মামলার অন্যতম আসামি চাঁদা আনতে গিয়ে গ্রেপ্তার । রোববার (১৬ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে পথেরবাজারে সাউথ এশিয়ান প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের কারখানার শ্রমিক ও এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
গ্রেপ্তার শেখ জাফরিন হাসান নগরীর খানজাহান আলী থানার মশিয়ালী গ্রামের অধ্যাপক হাসান শেখের ছেলে।
কারখানা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ জানায়, কয়েকদিন আগে ঈদের বকশিশ হিসেবে পথেরবাজারে সাউথ এশিয়ান প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের কারখানায় গিয়ে জাফরিন ম্যানেজার গোলাম সরওয়ারের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন। রোববার রাতে সে আবারো ম্যানেজারের কাছে গিয়ে চাঁদা দাবি করে। এরপর কারখানার শ্রমিক ও এলাকাবাসী তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশে দেয়। এ সময় তার অন্যান্য সহযোগী পালিয়ে যায়।
খানজাহান আলী থানার ওসি মো. কামাল হোসেন খান জানান, এ ঘটনায় রোববার রাতেই জাফরিনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে।
২০২০ সালের ১৬ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মুজিবর নামে মশিয়ালী গ্রামের এক নিরীহ ব্যক্তিকে অস্ত্রসহ পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয় জাকারিয়া হাসান ও তার ভাই জাফরিন ও মিল্টন। এ ঘটনায় গ্রামের বেশ কয়েকজন জাকারিয়ার বাড়িতে গিয়ে এ বিষয়ে জানতে চায়। এ সময় জাকারিয়ার সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জাকারিয়া, জাফরিন ও মিল্টন তাদের ওপর অতর্কিতে গুলিবর্ষণ করে। গুলিতে মশিয়ালী গ্রামের মো. নজরুল ইসলাম, গোলাম রসুল ও সাইফুল ইসলাম নিহত হন। বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে জাকারিয়ার চাচাতো ভাই জিহাদ শেখ মারা যান। হত্যাকাণ্ডের দুদিন পর ১৮ জুলাই রাতে নিহত সাইফুল ইসলামের বাবা সাইদুল শেখ বাদী হয়ে শেখ জাকারিয়া হাসান, তার ভাই শেখ জাফরিন হাসান ও মিল্টন এবং সহযোগী জাহাঙ্গীর ও আরমানসহ ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
আইএনবি/বিভূঁইয়া