টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় শনিবার (২৯ জুন) রাতে সন্ধানপুর ইউনিয়নের সন্ধানপুর গ্রামে এক অন্তঃসত্ত্বাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঘাটাইল থানার ওসি মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া এর সত্যতা নিশ্চিত করেন।।
নিহত ২২ বয়স বয়সী জেমি আক্তার উপজেলার দিঘর ইউনিয়নের মানাজি গ্রামের প্রবাসী জামাল হোসেনের মেয়ে। রোববার সকালে জেমির স্বামী সন্ধানপুর গ্রামের সমর আলীর ছেলে ২৫ বছর বয়সী মনিরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই দম্পতির সোহান (২) নামে এক ছেলে রয়েছে।
পরিবারের বরাতে পুলিশ জানায়, মনির পেশায় একজন শ্রমিক। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ আগে থেকেই ছিলো। শনিবার রাতে জেমিকে মারধর করা হয়। এতে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে তাকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। রাত আড়াইটায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে জেমি মারা যান।
জেমির বড় বোন নাছিমা বলেন, ‘চার বছর আগে পারিবারিকভাবে মনিরের সঙ্গে জেমির বিয়ে হয়। তিনি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। বিয়ের পর থেকেই মনির আমার বোনকে নির্যাতন করতো। এ নিয়ে কয়েকবার সালিস হয়েছে। কিন্তু তারপরও জেমিকে নানা অজুহাতে মারধর করা হতো। আমি আমার বোনের হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
ঘাটাইল থানার ওসি মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া বলেন, ‘মনিরের মাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
আইএনবি/বিভূঁইয়া