টঙ্গীতে ‘ধর্ষক’ ছেলেকে ছিনিয়ে নিতে গিয়ে আটক ৩

গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরের টঙ্গীতে ছাত্রলীগকর্মীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত আটক করে থানায় নিয়ে আসছিল পুলিশ। খবর পেয়ে ওই ধর্ষকের বাবা স্থানীয় কৃষক লীগ নেতা পুলিশের ওপর দলবল নিয়ে হামলা করেন । পরে ওই কৃষক লীগ নেতা ও তাঁর দুই স্ত্রীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বুধবার দুই ধর্ষকসহ গ্রেপ্তারকৃত পাঁচজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠনো হয়েছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে নির্যাতিত তরুণী রাতের শিফটের ডিউটি শেষে কারখানা থেকে ফিরছিলেন। টঙ্গীর পূর্ব থানার মরকুন কবরস্থানের কাছাকাছি গেলে স্থানীয় বাবুল হোসেন বাবু (২৭) পেছন থেকে মুখে গামছা চেপে ধরে কবরস্থানের ভেতর নিয়ে যান। সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা রিপন মিয়া (৪০) ও ছাত্রলীগকর্মী আসাদুজ্জামান শাওন (২৮) তাঁকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। তাঁরা চলে যাওয়ার সময় নারীর চিৎকারে লোকজন এসে ধর্ষক বাবুকে আটক করে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন।

পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাবুকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি রিপন ও শাওনের নামও প্রকাশ করেন। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে শাওনকে আটক করে। অভিযুক্তদের থানায় আনার সময় শাওনের বাবা কৃষক লীগ নেতা গাজীপুর সিটির ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী লুৎফর রহমান কালুর (৬০) নেতৃত্বে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে কনস্টেবল আমজাদ শরীফের মাথা ফেটে যায়। পরে পুলিশ কালু ও তাঁর দুই স্ত্রীকেও আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম জানান, নির্যাতিত তরুণী তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে শাওনের বাবা লুৎফর রহমান কালু এবং মা সনি আক্তার (৪০) ও সৎমা ফাতেমা বেগম (৩৫), ভাইসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

আইএনবি/বিভূঁইয়া