জাভির জোড়া গোলে আইএসএল খেতাব জিতে নিল এটিকে

ক্রীড়া ডেস্ক: এটিকে আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের হাত ধরে ফের আইএসএল খেতাব জিতে নিল । এ নিয়ে তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হল কলকাতার দলটি। তার মধ্যে তিন বারই দলের রিমোট কন্ট্রোল ছিল স্পেনীয় কোচেদের হাতে। হাবাস ম্যাজিকে দু’ বার (২০১৪, ২০২০) এবং হোসে মোলিনার কোচিংয়ে (২০১৬) একবার চ্যাম্পিয়ন হয় কলকাতার দলটি।

গত মরসুমে হতশ্রী পারফরম্যান্স করেছিল এটিকে। সাফল্যের সন্ধানে এ বার ফেরানো হয়েছিল হাবাসকে। তিনি দায়িত্ব নিতেই বদলে যায় এটিকের চেহারা। গোটা লিগ পর্বে দারুণ পারফরম্যান্স করে এটিকে শিবির। সেমিফাইনালের প্রথম সাক্ষাতে বেঙ্গালুরুর কাছে হারার পরে, দ্বিতীয় সাক্ষাতে বেঙ্গালুরুকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছিল এটিকে। শনিবারের ফাইনালে চেন্নাইয়িনকে ৩-১ গোলে হারিয়ে আইএসএল ট্রফি ঘরে তুলল এটিকে।

করোনা আতঙ্কে দর্শকশূন্য গ্যালারিতে ছিল শনিবারের ফাইনাল। অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন দর্শকহীন গ্যালারিতে কি ভাল ফুটবল তুলে ধরা সম্ভব? রেফারি খেলা শুরুর বাঁশি বাজানোর পর থেকেই অন্য মেজাজে ধরা দিয়েছিল চেন্নাইয়িন শিবির। শুরুতেই চেন্নাইয়িনের ভালস্কিসের শট এটিকে-র বার কাঁপিয়ে ফিরে আসে। একেই বোধহয় বলে চ্যাম্পিয়ন্স লাক। ১০ মিনিটে অন্য ছবি। জাভি হার্নান্ডেজের গোলে এগিয়ে যায় এটিকে। বাঁ দিক থেকে ডেভিড উইলিয়ামসকে লক্ষ্য করে বল বাড়িয়েছিলেন রয় কৃষ্ণ।

উইলিয়ামস ডামি করেন। পিছন থেকে উঠে আসা জাভি সাইড ভলিতে চেন্নাইয়িনের জাল কাঁপান।৩৭ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন রয় কৃষ্ণ। দলের অন্যতম সেরা ফুটবলার উঠে গেলেও ছন্দ হারায়নি কলকাতার দল। এটিকে-র বারের নীচে অরিন্দম হয়ে উঠেছিলেন অপ্রতিরোধ্য। একাধিক বার দলকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করেন তিনি।

বিরতির পরে গার্সিয়া ২-০ করেন এটিকে-র হয়ে। ৬৯ মিনিটে ব্যবধান কমান চেন্নাইয়িনের ভালস্কিস। তার পরে ম্যাচে ফেরার মরিয়া চেষ্টা করে চেন্নাইয়িন। বিচক্ষণ কোচ হাবাস জানেন কখন ডিফেন্স জমাট করতে হয়। শেষের দশ মিনিট ডিফেন্সে লোক বাড়িয়ে নেয় এটিকে। চেন্নাইয়িন আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। উল্টে খেলার একেবারে শেষ লগ্নে এটিকে-র হয়ে ৩-১ করেন জাভি। ফাইনালে জোড়া গোল করেন তিনি।

আইএনবি/বিভূঁইয়া