গোপালগঞ্জে গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে আগুন

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জে কাশিয়ানী উপজেলার সাজাইল ইউনিয়নের বাঘঝাঁপা গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গাছের সঙ্গে বেঁধে আগুনে পুড়িয়ে সুফিয়া বেগম (৫০) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর দেবরের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার ঘটনার পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুফিয়া গতকাল বুধবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে মারা যান।

হামলার পর পরই মঙ্গলবার সুফিয়ার ভাই আখতার হোসেন বাদী হয়ে কাশিয়ানী থানায় অভিযুক্ত লিয়াকত মোল্লাসহ দুজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো দুই-তিনজনের নামে একটি মামলা করেন। মামলার পর প্রধান অভিযুক্ত দেবর লিয়াকতকে (৫০) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার কদমতলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। লিয়াকত অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য।

কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ আলম জানান, ঘটনার পরপরই কাশিয়ানী থানার পুলিশ লিয়াকতকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে। ঘটনার সাড়ে আট ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ লিয়াকতকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। রাতেই তাঁকে কাশিয়ানী থানায় আনা হয়। গতকাল তাঁকে গোপালগঞ্জের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রামবাসী জানায়, বছরখানেক আগে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে লিয়াকত তাঁর ভাবি সুফিয়া বেগমের চুল কেটে দেন। সেটি সালিসের মাধ্যমে মীমাংসা হয়। সর্বশেষ মঙ্গলবার ওই নারীর ওপর লোমহর্ষক ও নৃশংস ঘটনা ঘটে। সেদিন সকাল ১১টার দিকে সুফিয়াকে বাড়ির উঠানের পেয়ারাগাছের সঙ্গে বেঁধে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন দেবর লিয়াকত মোল্লা।

নিহতের ভাতিজা প্রিন্স মোল্লা বলেন, ‘চাচির চিৎকার শুনে দৌড়ে যাই। গিয়ে দেখি গাছের সঙ্গে বাঁধা। আগুন জ্বলছে। আমি তড়িঘড়ি করে পানি ঢেলে দিয়ে আগুন নেভাই এবং কাশিয়ানী হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে ঢাকা নিয়ে যাই। চাচি বলেছেন, তাঁর দেবর লিয়াকত মোল্লা গাছে বেঁধে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন।’

আগুনে ওই নারীর শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে যায় বলে কাশিয়ানী ১০০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন।

আইএনবি/বিভূঁইয়া