গৃহবধূর মৃত্যুতে মায়ের দাবি হত্যা, স্বামীর দাবি আত্মহত্যা

বগুড়া প্রতিনিধি:বগুড়ায় আদমদীঘি সদরে বৃহস্পতিবার সকালে ভাড়া বাসায় থেকে মীম আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া প্রেরণ করেছে। তবে মৃত্যু নিয়ে গৃহবধূর মায়ের দাবি হত্যা ও স্বামীর দাবি ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দুপচাঁচিয়ার গোবিন্দপুর গ্রামের তানসেন প্রামানিকে ছেলে ফজলে রাব্বির সাথে দুই বছর আগে উপজেলার সান্তাহার নামা পোঁওতা গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের মেয়ে মীম আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর পারিবারিক কলহের কারণে তারা স্বামী স্ত্রী দুই মাস পূর্বে আদমদীঘি সদরের গো-হাট এলাকার জনৈক দেলোয়ার হোসেন বাবুর বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিল। পুনরায় পারিবারিক কলহ দেখা দিলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ চলে। এরপর বুধবার দিবাগত রাতে ভাড়া বাসায় তাদের শয়ন কক্ষে মীম আক্তারের লাশ দেখে বাসার মালিক গৃহবধৃর স্বামীকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেন।

তবে নিহতের স্বামী ফজলে রাব্বির দাবি, বাসার বেলকোনির গ্রিলের সাথে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে তার স্ত্রী মীম আক্তার আত্মহত্যা করেছে। অপরদিকে নিহতের মা মনিলা বেগমের দাবি, তাঁর মেয়েকে কৌশলে হত্যা করা হয়েছে। তারা হত্যাকে ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যার ঘটনা সাজিয়েছে।

আদমদীঘি থানার ওসি জালাল উদ্দীন জানান, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি আপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

আইএনবি/বি.ভূঁইয়া