করোনা নিয়ে জৈনিক নজরুল ইসলাম নামে ব্যাক্তি কি বললেন!

আইএনবি নিউজ: করোনা ভাইরাস নিয়ে জৈনিক নজরুল ইসলাম নামে গেন্ডারিয়া বসবাসরত ব্যাক্তি যা লিখলেন তা হুবুহু তোলে ধরা হলো-

‌‌”আসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ” ।

আমি প্রথম মহান সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করছি যিনি সাত আসমান জমিনের মালিক
এবং মুসলিম জাতির হিফাজত এর মালিক।

কান্না ও মায়া ভরা বাংলা রাষ্ট্রীয় মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি আমার কথাগুলো বিবেচনা করবেন।

আমাদের বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস বলত কিছুই নেই। আমাদের দেশে সম্পূর্ণ গুজব হচ্ছে মুসলিম বিরোধীরা । এক ঢিলে দুই পাখি শিকার করছেন।

একটি রাষ্ট্র ২-৩ মাস বন্ধ রাখা যায় হাতে হাত ভাঙ্গা থাল ধোরীয়ে দিয়ার বুদ্ধি। আমাদের দেশ দরিদ্রের হার বাড়ানোর চেষ্টা করা। এই দেশের মানুষ দরিদ্র হবে, এই রাষ্ট্র দরিদ্র হবে, আমরা মাথা উঁচু করে যেন দাঁড়াতে না পারি।

দ্বিতীয়তঃ ইসলামকে ক্ষতিগ্রস্থ করা হবে। তাদের ঈমানকে দুর্বল করার চেস্টা করা। কারন এই রোগ যখন দেখা দিল রাস্তাঘাটে মুসলিমরা যেখানে সেখানে নামায আদায় করেন। আর অমুসলিমরা আনন্দ উৎসব করেন।
মহান আল্লাহ বলছেন অন্যর উপর বিপদ দেখে তুমি হেসো না। তার থেকে তুমি কিছু শিক্ষা নাও। কারোন থেকে তোমাকে আমি এখন পর্যন্ত হেফাজতে রেখেছি। মহান আল্লাহকে ভয় করো।

অনেক সময় যা দেখি সেটা মিথ্যা হয়ে যায়, এটাই পৃথিবীর নিয়ম। অনেক সময় আকাশে মেঘ দেখি ভাবি বৃষ্টি হবে কিন্তু বৃষ্টি হয় না। আবার অনেক সময় রোদ্র দেখি কিন্তু বৃষ্টি হয়।
মহান আল্লাহর লীলা খেলা।

সাংবাদিক প্রতিনিধি ভাইদেরকে অনুরোধ করে বলছি, আমার কথা গুলো বিবেচনা করবেন
এবং বাংলাদেশ সরকারের কান্না ও মায়াভরা বাংলার রাষ্ট্রীয় মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আশা করি আপনি আমার কথাগুলো বিবেচনা করবেন। আমাকে একটু সুযোগ করে দেবেন মাত্র ২০ মিনিট এর জন্য।

বিশ মিনিটে আশা করি আপনাদের কোন ক্ষতিগ্রস্ত হবে না কারণ এমনিতেই লোক ডাউন আছে।

আমি মাক্স ছাড়া রোগীদের সাথে মুসাফা করব এবং কোন জীবানু নাশক স্প্রে ব্যাবহার করবো না। আপনাদের কথায় যদি করোন ভাইরাস থেকে থাকে তবে নিশ্চয় আমাকে করোনা ভাইরাস আক্রমণ করবে। আর যদি না থাকে তবে মহান আল্লাহ আমাকে হেফাজত করবেন।

কারন হযরত মুসা (আঃ) কে পানি থেকে হেফাজত করছেন আবার মহান আল্লাহ ফেরাউনকে ডুবিয়ে মেরেছেন নিল নদিতে।

মহান আল্লাহ মুসলিম জাতিকে হেফাজত রেখেছেন। শুধু বাংলাদেশে নয় সারা মুসলিম দেশ গুলোতে একজন ব্যক্তি কোন করোনা ভাইরাস এ আক্রান্ত হন নাই।

মহান আল্লাহ তাঁর কুদরত এর চাদর দিয়ে মুসলিম জাতিকে হেফাজোতে রেখেছেন। এতে একবিন্দু অবিশ্বাসের কারণ নেই। আর যারা বিশ্বাস না করেন তারা একটু চোখ বন্ধ করে ভেবে দেখেন, যুক্তরাষ্ট্রের দিকে একবার নজর করেন এবং একবার বাংলাদেশের দিকে নজর করেন। অথচ সারা বিশ্বের মুসলমানদের দিকে তাকিয়ে দেখুন এবং সারা মুসলিম বিরোধীর
তাদের দিকে তাকিয়ে দেখুন। আমাদের বুঝতে নিশ্চয়ই কষ্ট হবেনা। কারণ মহান আল্লাহ ১৪শ বছর আগেই এই মহামারির ব্যাখ্যা দিয়েছেন পবিত্র কোরআন শরীফে।

আমার কথা যদি মিথ্যা প্রমাণিত হয় তহালে বাংলাদেশের সরকার আমাকে যে শাস্তি দিবেন আমি মাথা পেতে নিব।

এটা কোন ছোয়াছুয়ি রোগ না, কারণ একজন ফ্যামিলিতে পাঁচজন সদস্য থাকেন। যদি ছুঁয়াছোঁয়ি রোগ হতো তাহলে এক জন আক্রান্ত হলে পাচ জন আক্রান্ত হওয়ার কথা। তবে ওই ৫ জন আক্রান্ত হয়না, এটাও মিথ্যা ।

জর কাশি শাসকষ্ট রোগ এটা স্বাভাবিক রোগ। তিন ফিট দূরত্ব থাকার মানে হলো নামাজিদের মাঝে তিন ফিটে সয়তানকে বসানো নিয়ম করে দেওয়া।

আমি যখন নিঃশ্বাস ছাড়ি, বাতাস যেদিকে যায়, দুই থেকে তিনশ ফিট আমার নিঃশ্বাস
বাতাসের সাথে মিশে চলে যায় এবং এই গ্রাম থেকে ওই গ্রামে চলে যায়। এই জন্যই মহান আল্লাহ আমাদের নাকের ভিতর অনেক গুলো পষম দিয়েছেন রোগ জীবাণু ধুলা বালি না যেতে পারে, দূষিত জীবাণুগুলো বাতাসে খেয়ে ফেলে, তার পরেও যদি কিছু থেকে থাকে মহান আল্লাহ নাকের ভিতর ফিল্টার দিয়েছেন। খারাপ জীবাণু ওই ফিল্টারে যেতে দেয় না। কারন নকের ভিতর একটা ফিল্টার দিছেন মহান আল্লাহ। তিনি মহাজ্ঞানী।

বিজ্ঞানীরা বলছেন যে মানুষের হাত মুখ পরিষ্কার রাখার জন্য । আমি তার সাথে একটা জিনিস যুক্ত করতেছি । আমাদের মানুষের একটু অন্তরটা যদি পরিষ্কার হত তবে মহান আল্লাহ আমাদের উপর আরও সন্তুষ্ট হতেন । মহান আল্লাহ তিনি মহান জ্ঞান।

আমি এখেন থেকে গুলিস্তান যাব, কাউকে জিজ্ঞেস করলে অনেকেই ভুল পথ দেখায় কারণ গুলিস্তান কোন দিকে সে নিজেই জানে না। বিদেশীরা জানেনা করোনা ভাইরাস ঠেকানোর রাস্তা। তবে তারা কিভাবে আমাদেরকে সঠিক রাস্তা দেখাবেন। অমুসলিম হয়ে যদি আমাকে সটিক রাস্তা না দেখায় তবে আমি কিভাবে আশা করি যে আমাদেরকে মুসলিম বিরোধীরা সঠিক তথ্য দিবেন। মহান আল্লাহ বলছেন মুসলিম বিরোধীদের সাথে তুমি বন্ধুত্ব করো না
কারণ তোমাকে ভুল পথ দেখাবেন।

প্রধানমন্ত্রী মানে এই দেশের রাষ্ট্রের প্রধান। রাষ্ট্রের প্রধান মানেই এই দেশের অভিভাবক। অভিভাবক মানে বাংলা রাষ্ট্রীয় মা । দেশের এক শ্রেণীর মানুষ আছে অন্যের ভালো সে দেখতে পারে না তাহার ক্ষতি করার চেষ্টা করে। যে আলেমরা ফতোয়া দিছেন মসজিদে নামাজ পড়বেন না, স্পষ্ট কোরআন শরীফে আছে যে ব্যক্তি মসজিদে নামাজ না পড়ার জন্য বাধা দিবেন তিনি হলো জালিম আর জালিম ব্যক্তির জন্য জাহান্নাম নির্ধারিত। ওরা আলেম না ওরা হলো মুসলমানদের শত্রু শয়তানের বন্ধু।

আমি মনে করি ওরা রাষ্ট্রীয় শত্রু । এক ধরনের আলেম হয়ে যদি আপনাকে ভুল ফতোয়া দেয়। অন্য দেশের মানুষ আপনাকে ভুল পরামর্শ দিবে না আমি কিভাবে মোনে করবো?

আমাদেরকে করোনা ভাইরাসের ভয় দেখিয়ে আমাদের দেশে মেশিনারি যন্ত্রপাতি বিক্রি করে হাজার হাজার কোটি টাকা তারা নিয়ে যাচ্ছে। দেশে লকডাউন এর মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা রাজ্যের ক্ষতি হচ্ছে। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে আমি মনে করি আমাদের রাষ্ট্রকে দরিদ্র হার বাড়ানোর জন্য প্লান করছেন। বিশ্বের মুসলমানদের উপর এই চক্রান্ত চালাচ্ছেন।

তবে তাদের মনকে করোনা ভাইরাস আক্রমণ করছে কারণ মুসলমানদের হেফাজত এর মালিক মহান আল্লাহ। আপনাদের বুঝতে যদি কষ্ট হয় একটু চোখ বন্ধ করে চিন্তা করে ভেবে দেখেন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা কি আর বাংলাদেশের অবস্থা কি এবং সারা বিশ্বের মুসলমানদের অবস্থা কি। বিশ্বের মুসলমান বিরোধীদের অবস্থা কি?

তবে নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পারবেন। কোরআন শরীফে স্পষ্ট লেখা আছে আমি যাকে খুশি রাষ্ট্র প্রধান দান করতে পারি। আমি মনে করি মহান আল্লার ইচ্ছায় আপনি এই দেশের প্রধানমন্ত্রী। আমি মোনেকরি মহান আল্লাহ আপনাকে অনেক জ্ঞান দান করেছেন। কান্না ও মায়া ভরা বাংলার রাষ্ট্রীয় মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

আশাকরি আমার কথাগুলা বিবেচনা করবেন । বাংলা রাষ্ট্রীয় মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী  আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করি। আপনার দীর্ঘ হায়াত কামনা করি আল্লাহ মহান সর্বশক্তিমান তিনি আমার আপনার হেফাজতের মালিক।
অনুলেখা-
নজরুল ইসলাম

আইএনবি/বি