ইজিবাইক ও মোবাইল চোর দলের ৯ সদস্য গ্রেফতার

বাগেরহাট প্রতিনিধি: শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাগেরহাটে বাড়ি থেকে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন মালামাল চুরির সঙ্গে জড়িত নয় যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শনিবার দুপুরে তাদের আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এসময় তাদের কাছ থেকে একটি ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক, ভ্যান ও বাইসাইকেলসহ ১৭টি আধুনিক এনড্রয়েড মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

শনিবার দুপুরে বাগেরহাটের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো, কচুয়া উপজেলার উত্তর মাধবকাঠি গ্রামের আব্দুল মান্নান মাঝির ছেলে মো. সাহিদুল ইসলাম ওরফে শহিদুল (২৯), একই উপজেলার দক্ষিণ মাধবকাঠি গ্রামের হান্নান শেখের ছেলে নাইম হোসেন (২৪), বয়াসিংগা গ্রামের মাহাতাব শেখের ছেলে মো. বাদল শেখ (২৪), চিতলমারী উপজেলার ব্রক্ষ্মগাতি গ্রামের মো. আমজাদ শেখের ছেলে মো. জুয়েল শেখ ওরফে রফিকুল ইসলাম (২৩), একই উপজেলার কলিগাতি গ্রামের আসলাম শেখের ছেলে মো. সুমন শেখ ওরফে হাতেম চোরা (২০), বাগেরহাট সদর উপজেলার আতাইকাঠি গ্রামের সোহরাব মোল্লার ছেলে তুফান মোল্লা (২২), একই উপজেলার দেপাড়া গ্রামের দেলোয়ার শেখের ছেলে মো. রাকিবুল ইসলাম ওরফে বাবু (১৯), শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর গ্রামের লিটন হাওলাদারের ছেলে মাসুদ রানা ওরফে ফোরকান (২৩) এবং বাগেরহাট শহরের খারদ্বার এলাকার মালেক দাইয়ের ছেলে মনিরুল ইসলাম ওরফে মানিক মন্টে (২৮)।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া গ্রামের একটি বাড়িতে সম্প্রতি চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় করা মামলার তদন্ত করতে পুলিশ একটি চোর চক্রের সন্ধান পায়। ওই চক্রটিকে ধরতে পুলিশ একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। পরে তাদের কাছ থেকে একটি ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক, ভ্যান এবং ১৭টি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করা হয়। এই চক্রের মধ্যে কয়েকজন দীর্ঘদিন ধরে বাসাবাড়িতে ঢুকে চুরি করতো এবং কয়েকজন তাদের কাছ থেকে ওই মালামাল কিনতো। জিজ্ঞাসাবাদে তারা এ কথা স্বীকার করেছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় আরও জানান, এই চক্রটি বাগেরহাট ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কয়েক হাজার মোবাইল ফোন চুরি করে প্রযুক্তির মাধ্যমে সেটের আইএমই নাম্বার চেঞ্জ করে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করছে।

আইএনবি/বিভূঁইয়া