অভির কষ্ট গুলো…

নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন প্রজন্মের লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক এমডি বাবুল ভূঁইয়ার লেখা ‘অভির কষ্ট গুলো’ । লেখকের ফেইসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া।

ছোট ছেলে হিসেবে মা-বাবাসহ সকলেরই আদরের ছিলাম। আমি ভাই-বোনদের মধ্যে সবার ছোট।

যখন বেকার ছিলাম অর্থ্যাৎ ছাত্র ছিলাম তখন বাবাকে হারিয়েছি। সবেমাত্র যখন কিছু রোজগার করতে শিখলাম তখন মা’কে হারিয়েছি। লেখাপড়ার কারনে দূরে ছিলাম, তাই মায়ের শেষ মুখটা পর্যন্ত আমি দেখতে পারিনি। কিন্তু আমার বুকের ভিতরের নিরব কান্না, নিরব হাহাকার টুকু কেউ বুঝতে পারেনি। বড় ভাই কিছুটা বুঝতে পারলেও নিরব ছিল। হয়তো আমার উপর অভিমান ছিল তাঁর…। সে যাই হোক…।

পরবর্তিতে এই কোলাহল ঢাকা শহরে একা একা বেড়ে উঠেছি মা-বাবাকে হারিয়ে। যদিও এই শহরে ছিল, আমার বাবার মত বড় ভাই, ছিল মায়ের মত বড় বোন, ছিল সেজো বোন, মেঝো ভাই..।

তথাপীও আমার থাকার জায়গাটুকু হয়তো ছিলনা। নাকি আমিই ভাল ছিলামনা বুঝতে পারছিনা..!! না না না…আমি কাউকে দোষারোপ করছিনা। নিজের জীবনের কয়েকলাইন স্মৃতিচারণ করছি মাত্র।

করোনার মহামারীতে সবাইকে দেখতে খুব ইচ্ছা থাকা সত্বেও পারিনি, সরকারি বিধিনিষেধ মানতে গিয়ে।

আজ ঈদ..কিন্তু আমার সবকিছু থেকেও নেই..। অসহায় একাকি পরে আছি আমার বিশাল অট্টলিকায় !! বলে রাখছি, আমি কিন্তু এখন সংসার (বিয়ে) করিনি।

বিধাতার কি অসিম মহিমা…
করোনা আমাকে আবারও নতুন করে বাঁচতে শিখিয়েছে, নতুন করে মানুষ চিনতে শিখিয়েছে, নতুন করে আপনজনসহ সবার প্রতি মনে মায়া জন্মে দিয়ে গেছে, নতুন করে শিখিয়েছে এই আমি আমাকে..। কারণ, লকডাউনের কিছুদিন আগেও আমি আমাকেই চিনতে পারিনি অর্থের রঙ্গ লীলায়..। যখন মনে পরে তখন কষ্টের মাঝেও একা একা হাসি..। কি ভুলটাই আমি করেছিলাম। আমি বলব আমার ভাগ্যটা সত্যিই অনেক ভাল।

আজ এই সুন্দর পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য করোনা একটা বিশাল উদাহরণ হয়ে থাকবে। হে দয়াময় প্রভু, হে আমার প্রতিপালক.. তুমি মানুষকে দিয়েই মানুষের প্রতিশোধ নিয়েছ। কি চমৎকার তোমার লীলা, হে প্রভু!!

এমডি বাবুল ভূঁইয়া
৩১-০৫-২০২০

আইএনবি/বি