অন্ধকারে ডুবে যেতে পারে আফগানিস্তান

আল-জাজিরার রিপোর্ট

বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য জাতিসংঘের কাছে ৯০ মিলিয়ন ডলার সাহায্য চেয়েছে আফগানিস্তান। দেশটি গত ৩ মাস ধরে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো থেকে আমদানি করা বিদ্যুতের দাম পরিশোধ করছে না। ফলে যে কোনো সময় আফগানিস্তানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিতে পারে ইরান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও তাজিকিস্তান। তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে প্রতিবেশী দেশগুলোকে বিদ্যুতের জন্য কোনো অর্থ প্রদান করা হচ্ছে না। অথচ দেশটির ৭৮ ভাগ বিদ্যুতই আসে এসব দেশ থেকে।

আল-জাজিরার খবরে জানানো হয়েছে, প্রতি মাসে ২০ থেকে ২৫ মিলিয়ন ডলারের বিদ্যুৎ আমদানি করতে হয় আফগানিস্তানে। কিন্তু তালেবান ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তানের অর্থনীতি কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। প্রায় ৬২ মিলিয়ন ডলার বিদ্যুতের দাম পরিশোধ বাকি রয়েছে। এমন অবস্থায় আফগানিস্তানের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিবেশী ৪ দেশ যে কোনো সময় আফগানিস্তানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিতে পারে।

আগামি এক সপ্তাহের মধ্যেই অপরিশোধিত বিলের পরিমাণ ৮৫ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। তাই সংকট মোকাবেলায় জাতিসংঘের কাছে ৯০ মিলিয়ন ডলার চেয়েছে দেশটি। জাতিসংঘ এখনও এই আবেদনে সাড়া দেয়নি।আফগানিস্তানের মাত্র ৩৮ শতাংশ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিলে অন্ধকারে ডুবে যেতে পারে কাবুল। তালেবানের মুখপাত্র বিলাল কারিমি যদিও আশার কথা শোনাচ্ছেন। তিনি বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো রয়েছে। আশা করি তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ চালিয়ে যাবে।

আফগানিস্তানে প্রতি বছর ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। এরমধ্যে মাত্র ২২ শতাংশ উৎপাদন করতে পারে দেশটি। বাকি পুরো চাহিদাই মেটানো হয় আমদানির মাধ্যমে। রাজধানী কাবুলে এমনিতেই লোড শেডিং স্বাভাবিক বিষয়। তালেবান ক্ষমতায় আসার পর এ অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে। এরমধ্যে তালেবান গত বছর বিদ্যুতের টাওয়ারগুলো ধ্বংস করে দিয়েছিল। সে কারণেও ভুগতে হচ্ছে আফগানদের।