নিজস্ব প্রতিবেদক
অবশেষে সমাজের বিশিষ্ঠজনদের নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিক ভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপ্রচারকারী কথিত সাংবাদিক ইকবাল হোসেন সরদারকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া তিনি ৯ বছর সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।
ডামুড্যা থানা পুলিশ সূত্র জানায়, শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি, সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা কর্মচারি,সুধীজন,সমাজকর্মী, সাংবাদিক সহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপ্রচার মানহানিকর তথ্য প্রদান করে সম্মান ক্ষুন্ন করা ও বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করে বিভিন্ন ভাবে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া অভিযোগ সহ ৯ বছর সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি কথিত ইকবাল হোসেন সরদারকে র্যাবের সহযোগিতায় গ্রেফতার করেছে ডামুড্যা থানা পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, কথিত সাংবাদিক ইকবাল হোসেন নিজেকে সাংবাদিক দাবি করে ফেইসবুকে সমাজের সম্মানি ব্যক্তিদের নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি করছে। নিজেকে দুটি প্রত্রিকার সম্পাদক দাবি করলেও একটিরও সরকারি অনুমোদন নেই। প্রথমে ফোনে ঐ ব্যক্তির কাছে মিথ্যা তথ্যের হুমকি দিয়ে চাঁদা যান, তার চাহিদা মতো টাকা না দিলে ফেইসবুকে মনগড়া তথ্য লিখেন। এটার তার নিত্য দিনের বিষয়। দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থেকে এমন অপকর্ম করে আসছিলেন।
তার ফেইসবুক আইডিতে গেলে মানুষকে হয়রানি ও মানহানির করার মতো শত শত পোস্ট দেয়া যায়। শরীয়তপুরে গত ১০ বছরে যতজন এসপি, জেলা প্রশাসক, জেলা দায়রা জজ কর্মরত ছিলেন, তাদের প্রত্যেককে নিয়েও ইকবাল নানা মিথ্যা তথ্যে বিভ্রান্ত করেছেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে এমনটাই জানা গেছে।
ভুক্তভোগী উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মজিবুর রহমান সরদারের সাথে তিনি বলেন, কথিত সাংবাদিক ইকবাল হোসেন আমার নামে ফেসবুকের মাধ্যমে একাধিকবার মিথ্যা অভিযোগ ও তথ্য দিয়ে আমাকে ব্ল্যাকমেলিং করার চেষ্টা করে এজন্য আমি তার কঠোর শাস্তি দাবি করছি।
এ সময় ডামড্যা থানা কমপাউন্ডে গিয়ে দেখা যায় উক্ত সাংবাদিক যাদের নিয়ে ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মন্তব্য করে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন সে সমস্ত ভুক্তভোগীরা তার বিচার দাবিতে থানা কম্পাউন্ডে এসে জড়ো হয়।
এবিষয়ে ডামুড্যা থানার ওসি তদন্ত মোঃ আব্দুস সালাম বলেন, কথিত সাংবাদিক ইকবাল হোসেন এর নামে ৯ বছর সাজাপ্রাপ্ত আসাম হওয়ার মামলা ছিলো সে মামলায় আমরা র্যাব এর সহযোগিতায় বুধবার ঢাকা থেকে উক্ত ইকবাল হোসেনকে আটক করে ডামুড্যা এনে শরীয়তপুর জেল হাজতে প্রেরণ করেছি।