আইএনবি ডেস্ক:রাজধানীর এলিফেন্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান কম্পিউটার সিটি মার্কেটে শুক্রবার রাত পৌনে ১১ টায় এহতেশামুল হক নামে এক ব্যবসায়ী বহুতল মার্কেটের সিঁড়ি দিয়ে নেমে প্রধান সড়কে দাঁড়াতেই ৬-৭ জন যুবক ঘিরে ধরে। তাদের প্রত্যেকের হাতে চকচকে চাপাতি। মুহূর্তের মধ্যে চাপাতি দিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে কোপাতে থাকে। তখন এলিফেন্ট রোড দিয়ে সাঁ সাঁ করে গাড়ি ছুটে যাচ্ছিল। ওই ব্যবসায়ী হামলা থেকে বাঁচতে দৌড় দেন। তখনও তারা তাকে চাপাতি দিয়ে কোপাতে দেখা যাচ্ছিল। এ অবস্থায় পথচারীরা জড়ো হলে সন্ত্রাসীরা চলে যায়। পরে ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) এই হামলার ভিডিও ফুটেজ ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ব্যবসায়ীর ওপর হামলার প্রতিবাদে শনিবার এলিফেন্ট রোড এলাকায় ব্যবসায়ীরা ফুঁসে ওঠে। তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে এর প্রতিবাদের মানববন্ধন কর্মসূচি ও সমাবেশ করে।
ব্যবসায়ীরা জানান, শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে এলিফেন্ট রোড কম্পিউটার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ওয়াহিদুল হাসান দিপু ও ইসিএস কম্পিউটার সিটির (মাল্টিপ্ল্যান) যুগ্ম সদস্য সচিব এহতেসামুল হক একসঙ্গে মার্কেট থেকে বের হচ্ছিলেন। এই সময় সন্ত্রাসীরা তাদেরকে ধাওয়া করে ঘিরে ধরার চেষ্টা করলে দিপু পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন। সন্ত্রাসীরা এহতেসামুলকে ঘিরে ধরে এলোপাতাড়ি কোপ দেয়।
ব্যবসায়ীরা আরও জানায়, ৫ আগস্টের পর মাল্টিপ্ল্যান কম্পিউটার সিটি মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ এক গ্রুপের হাতে চলে যায়। তারাই মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতি দখল করে। এই গ্রুপটি মোহাম্মদপুর এলাকার এক শীর্ষ সন্ত্রাসীর আশীর্বাদপুষ্ঠ। তাদেরই আবার প্রতিপক্ষ ধানমন্ডি কেন্দ্রিক একটি শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপ। ধানমন্ডির গ্রুপটিই এলিফেন্ট রোড ও নিউমার্কেট এলাকার চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করে। এরই জের ধরে ধানমন্ডি কেন্দ্রিক ওই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপটি ব্যবসায়ী এহতেসামুলের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনার পর ওয়াহিদুল হাসান দিপু বাদী হয়ে নিউ মার্কেট থানায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে নিউমার্কেট থানার ওসি মোহসিন উদ্দিন বলেন, ব্যবসায়ীর ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। আহত ব্যবসায়ী চিকিৎসাধীন। কারা এবং কেন এই হামলা চালিয়েছে তা তদন্ত করা হচ্ছে।
আইএনবি/বিভূঁইয়া