গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের মজুমদার বাজারে বুধবার বিকালে কোরবানির পশুর হাট বসানোকে কেন্দ্র করে পুলিশ-জনতার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পুলিশসহ ৮ জন আহত হয়েছে। পরে পুলিশ ৩ রাউন্ড ফাকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের হলেন, এসআই আবুল কালাম আজাদ, এএসআই মাসুদ রানা, কনস্টোবল মনির হোসেন ও সোলায়মান হোসেনকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত হাটুরে লোকজন গোপনে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাৎক্ষনিক তাদের নাম জানা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার প্রতিদিনের ন্যায় মজুমদার বাজারে বসে। কিন্তু আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে বুধবার ওই বাজারের পাশে পরিত্যাক্ত জমিতে পশুর হাট বাসানো হয়। কিন্তু পশুর হাট অবৈধভাবে বসানো হয়েছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগের ভিত্তিত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পশুর হাট পণ্ড করে দেয়ার চেষ্টা করে। এতে হাট ইজারাদারের ও হাটুরে লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে হাটুরে লোকজনের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৩ রাউন্ড শর্টগানের ফাকা গুলি করেন।
হাট ইাজারাদার ওবায়দুল ইসলাম জানান, পশুর হাট বসানোর ক্ষেত্রে কোন বিধি নিষেধ নাই। সে কারনে আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে পশুরহাট বসানো হয়েছে। এছাড়া কেন পশুর হাট বসানো যাবে না। সেই মর্মে হাইকোর্টের একটি লিগ্যাল নোটিশ উপজেলা নিবার্হী অফিসারের নিকট জমা দেয়া হয়েছে। এরপরও বেআইনি ভাবে পশুর হাট পণ্ড করে দেন পুলিশ।
সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. মাহবুব আলম জানান, অনলাইন সেবা ৯৯৯ তে এবিষয়ে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ করেন। এ কারণে পুলিশ এ বাজারে পশুর হাট না বসানোর জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু হাট ইজারাদারের ও হাটুরে লোকজন জনতা পুলিশের সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান করে। এক পর্যায়ে তারা পুলিশের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে ৪ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি করেন।
হাইকোর্টের একটি লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার কথা স্বীকার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম জানান, লিগ্যাল নোটিশটি গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপির মতামতের জন্য পাঠানো হয়েছে। কিন্তু মতামত না পাওয়ার আগেই অনাকাঙ্খিত ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আইএনবি/বিভূঁইয়া