দৌলতপুরে সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: উপজেলার দৌলতপুর-কলিয়া সড়কের জিসি সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ চলমান কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে ১৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আওতায় দৌলতপুর-কলিয়া জিসি সড়ক নির্মাণকাজ চলছে। মেসার্স জাহিদ অ্যান্ড ব্রাদার্স এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি বাস্তবায়ন করছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের দুই পাশে ২৩ ইঞ্চি বক্স কাটিং করে প্রথম স্তরে ১০ ইঞ্চি বালু, দ্বিতীয় স্তরে ৬ ইঞ্চি সাববেজ, তৃতীয় স্তরে ৬ ইঞ্চি শুধু পিকেট খোয়া এবং ওপরের স্তরে ৪০ মিলিমিটার পুরু করে কার্পেটিং করার কথা। তবে তা না করে অত্যন্ত নিম্নমানের ইট খোয়াসহ নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। বালুর পরিবর্তে কাদামাটি দিয়ে তার ওপর নিম্নমানের পুরোনো ইটের খোয়া ছিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নিম্নমানের ইটের ভাঙা অংশ ডাস্ট দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। পুরোনো সড়কের পিচ না উঠিয়েই তার ওপরই নতুন কাজ করা হচ্ছে। এতেও নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। সড়কের কাজে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কাউকে এসে তদারকি করতে দেখা যায়নি। এছাড়াও সড়কের দুই পাশে কোনো প্রকার ফুটপাত বা সোল্ডার দেখা যাচ্ছে না। নাম প্রকাশে, অনিচ্ছুক দৌলতপুর উপজেলা এলজিইডির কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই কাজের অনিয়মের সঙ্গে জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী সরাসরি জড়িত।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই সড়কের কাজ তদারকিতে দৌলতপুর উপজেলার এলজিডির কর্মকর্তাদের গাফিলতি রয়েছে।

সড়কের বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা রাস্তার কী বুঝেন, রাস্তার কাজ ভালো হচ্ছে।’

এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ ইরাজ উদ্দিন দেওয়ান বলেন, কাজে অনিয়ম হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অনিয়ম হলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে মানিকগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুল হক কাজে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেন।

আইএনবি/বিভূঁইয়া