দুর্নীতি ও অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগে বন কর্মকর্তা বরখাস্ত

শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুরি ফরেস্ট রেঞ্জের সাবেক কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম নামে এক বন কর্মকর্তাকে দুর্নীতি ও অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৬ সালে তিনি বালিজুরি রেঞ্জ কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পরপরই বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, গত আট বছরে তিনি নানা দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণের অর্থের মালিক বনে গেছেন। তার এসব দুর্নীতির মধ্যে অর্থ হরিলুট করেন।

জানা গেছে, সামাজিক বনের অংশীদারদের টাকা, নিলামে কাঠ বিক্রির অর্থ ও বিটারদের কাছ থেকে নেওয়া অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে নিজের পকেটস্থ করেন। এভাবে তিনি গত আট বছরে একই কর্মস্থলে থেকে শুধু সরকারি অর্থই প্রায় ১০ কোটি টাকা হরিলুট করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গত ২৯ মে বন কর্মকর্তা রবিউল ইসলামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে বন বিভাগ। তার এসব অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ তদন্তের জন্য বিভাগীয়ভাবে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির কর্মকর্তারা হলেন আহ্বায়ক নেত্রকোনার সহকারী বন সংরক্ষক এএফজি মোস্তফা, ময়মনসিংহের সহকারী বন সংরক্ষক সাদেকুল ইসলাম খান, ময়মনসিংহের উথুরা রেঞ্জ কর্মকর্তা আ ছ ম রিদুয়ানুল হক, রাংটিয়া ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল করিম ও শেরপুরের এসএফএনটিসির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার আব্দুর রাজ্জাক। ইতিমধ্যেই এ তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ময়মনসিংহের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ ন ম আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, কী পরিমাণের দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত শেষে জানা যাবে।

আইএনবি/বিভূঁইয়া