ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে পাকিস্তানে ব্যাপক বিক্ষোভ: সংঘর্ষ ও উত্তেজনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের ডাকে রবিবার এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এটি ছিল পিটিআইয়ের জাতীয় নির্বাচনের পর প্রথম বড় বিক্ষোভ।

গণমাধ্যম আল জাজিরার মতে, এই বিক্ষোভ ইমরান খানের দলকে নতুন করে সক্রিয় করে তুলেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিও এবং ছবিতে দেখা গেছে, হাজার হাজার পিটিআই নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোর দিকে অগ্রসর হচ্ছেন। শহরের বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হলেও তাদের অগ্রযাত্রা থামানো যায়নি।

ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ সহচর হাম্মাদ আজহার ঘোষণা দিয়েছেন, ইমরান খানের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা বিশ্রাম নেব না।” অন্যদিকে লাহোরের পিটিআই নেতা ও প্রখ্যাত আইনজীবী সালমান আকরাম রাজা বলেছেন, দুর্নীতিবাজ ও অনভিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের হাত থেকে পাকিস্তানকে বাঁচাতে পারেন একমাত্র ইমরান খান।

ইসলামাবাদ প্রশাসন বিক্ষোভ ঠেকাতে আগে থেকেই শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তারা শহরের প্রবেশপথগুলোতে বড় বড় কন্টেইনার দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করেছিল। কিন্তু পিটিআই কর্মীরা সেই বাধা অতিক্রম করে রাজধানীতে প্রবেশ করতে সক্ষম হন।

বিক্ষোভকারীদের একজন, রবিনা গফর আল জাজিরাকে বলেন, আমাদের জন্য রাজধানীতে পৌঁছানো সহজ ছিল না। সব রাস্তা বন্ধ ছিল, কিন্তু আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম। ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে যখন ডাক দেওয়া হয়েছে, আমরা তা উপেক্ষা করতে পারি না। আমরা শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব।

পিটিআই নেতাদের মতে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের দমনে নানা চেষ্টা চালিয়েছে। স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল সামা নিউজের ফুটেজে দেখা গেছে, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করছে। পাল্টা হিসেবে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল ছুড়ছে, এতে সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করে।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ২০২২ সালের এপ্রিলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়ে ক্ষমতাচ্যুত হন এবং ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন।

ইসলামাবাদ পুলিশের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়, যার ফলে কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজন সিনিয়র কর্মকর্তাও রয়েছেন।
সূত্র : জিও

আইএনবি/বিভূঁইয়া