আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রতিদিেই বাড়ছে মৃত্যু আর আতংক। বন্দী জীবনে সেখানকার প্রায় ৬ কোটি মানুষ। সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিরাও হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। যুগান্তর, বিবিসি, সিএনএন
বৃহস্পতিবার আরও ৭১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে হাজার ৮ হাজার ১৬৫ জনে। একদিনে নতুন আক্রান্ত ৬ হাজার ১৫৩ জন। দেশটিতে গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৬১২। চিকিৎসা শেষে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ হাজার ৩৬১।
মোটা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮০ হাজার ৫৩৯। চিকিৎসাধীন ৬২ হাজার ১৩ জন। অন্যদিকে চীনা ও ইতালির পর মৃত্যুর লাইন লম্বা হচ্ছে স্পেনেও। সেখানে একদিনে করোনায় কেড়ে নেয় ৪ হাজার ৯৮ প্রাণ। এনিয়ে স্পেনে মোট মৃতের সংখ্যা ৪ হাজারেরও বেশি। আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা মোটা ৫৬ হাজার ১৯৭। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭ হাজার ১৫ জন। সরকার নানা পদক্ষেপ নেয়ার পরও মৃত্যু কমছে না। ভাল নেই স্পেনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাংলাদেশিরাও।
স্পেনের টেনেরিফ দক্ষিণ দ্বীপে বসবাসরত মুহাম্মদ ফরিদ হাসান জানান, এ দ্বীপে বাংলাদেশি তেমন একটা নেই বললেই চলে। পর্যটক বেশি আসে। কিন্তু দ্বীপটিতে ইতালিয়ান এক পর্যটক করোনায় পজেটিভ ধরা পরেছে। এরপর আস্তে আস্তে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। তবে সরকারের নানা রকম পদক্ষেপের ফলে দ্বীপে আমরা বাংলাদেশিরা ভাল আছি। এরপরেও আতংক চলে আসে। তাই এখন সবাই আমরা হোম কোয়ারেন্টাইনে আছি।
করোনা মোকাবেলায় জনগণের জন্য বিভিন্ন ভাল পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী কোনতে। চলাফেরা অনেক সীমিত করা হয়েছে। প্রশাসনের নজরও বাড়ছে। সরকারের পক্ষ থেকে জনগণের জীবন রক্ষা করতে একের পর এক পদক্ষেপের কমতি নেই সরকারের।
রোমের পৌর মেয়র রাজ্জি সমস্যা সমাধানে সবাইকে সতর্ক হওয়ার আহবান করেছেন। সবাইকে বাসায় থাকতে নির্দেশ দেন। ইতালির মাস্ক সমস্যাও অনেকটা সমাধানে কাজ করছে তার সরকার। খুব প্রয়োজনীয় ফ্যাক্টরি ছাড়া সবই বন্ধ রাখা হয়েছে। স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ রাখা হয়েছে করোনা মোকাবেলা করতে।
আইএনবি/বিভূঁইয়া